হযরত আলী (রা) : প্রথম মুসলিম বিজ্ঞানী।

হযরত আলী (রা.) মক্কার কুরাইশ বংশে ৬০০ খৃস্টাব্দ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর আপন চাচাত ভাই ছিলেন। আলী (রা.)-এর পিতা ছিলেন আবূ তালিব আর দাদা ছিলেন আবদুল মুত্তালিব । খুলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা ছিলেন তিনি। তাঁর জ্ঞানের ব্যাপারে স্বয়ং রাসূল (সা.) বলেছেন, 'আমি জ্ঞানের নগরী, আর আলী সেই নগরীর দরওজা।'

আরও পড়ুন: প্রথম মুসলিম বিজ্ঞানী খালিদ ইবনে ইয়াজিদ

হযরত আলী (রা.) একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। কিন্তু তাঁর এই পরিচয়টি আমাদের কাছে অজানা রয়ে গেছে। তার একটি কাব্যবাণীতে আছে ``যুজ আল ফারার ওয়তি তালাক ওয়াশ শায়য়ান আশবাহুল বারাক এজাসাম জালাত ওয়া আস কাহাৎ মালাক তাল গারার ওয়াশ শারার।‘‘ অর্থ--‘পারদ ও অভ্র একত্র করে যদি বিদ্যুৎ ও বস্ত্র সদৃশ কোন বস্তুর সঙ্গে সংমিশ্রণ করতে পার, তাহলে প্রাচ্য ও পাশ্চাতের অধীশ্বর হতে পারবে' (সূত্র: বিজ্ঞানে মুসলমানদের দান-এম. আকবর আলী)।

আলী (রা)
হযরত আলী (রা.) পারদ ও অভ্রকে বিদ্যুৎ বা বজ্রের মত ভীষণ তেজস্কর অগ্নিসংশ্লেণাত্মক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার আভাষ দিচ্ছেন। আবু আলী সীনাও স্বর্ণ প্রস্তুতে হযরত আলী (রা.)-র মত পারদকে অপরিহার্য ধরে নিয়ে অতিশয় বিশুদ্ধ গন্ধক ও পারদ জমিয়ে কঠিন করে স্বর্ণ প্রস্তুতের পদ্ধতি দিয়েছেন।

গন্ধক ও পারদকে জমিয়ে কঠিন ও বিশুদ্ধ করতে গেলে বিদ্যুৎ বা বজ্রের মত ভয়ঙ্কর অগ্নি বিক্রিয়ার কথা না বললেও অনুধাবন করা খুব দুরূহ নয়। তাহলে হযরত আলী (রা.) আর ইবনে সীনার মতবাদের মধ্যে খুব তফাৎ থাকে না’ (বিশ্বসভ্যতায় মুসলিম অবদান-নূরুল হােসেন খন্দকার, পৃ. ১৯)। আসলে হযরত আলী (রা.) থেকেই আরব সভ্যতার বিজ্ঞান গবেষণার সূচনা। ইসলামের ইতিহাসের এই প্রথম বিজ্ঞানী ৬৬১ খৃস্টাব্দে শাহাদৎ বরণ করেন।

আরও পড়ুন: বিখ্যাত মুসলিম ঐতিহাসিক গোলাম আহমেদ মর্তূজা

তথ্যের উৎস: গ্রন্থ- সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী।

লেখক: জিলহজ আলী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ